স্বাস্থ‍্য সাথী কার্ডে অমিল পরিষেবা , ফিরিয়ে দিল চিকিৎসাকেন্দ্র : অসহায় পরিবার

20th January 2021 2:45 pm হুগলী
স্বাস্থ‍্য সাথী কার্ডে অমিল পরিষেবা , ফিরিয়ে দিল চিকিৎসাকেন্দ্র : অসহায় পরিবার


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে পেয়ে গেছেন  ডানকুনির  ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৭২ বছরের বৃদ্ধা শোভনা কর ও তার পরিবার। ছোট ছেলে আর ছেলের বউকে নিয়ে ছোট পরিবার বৃদ্ধার। অভিযোগ  কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত এই পরিবার। এই মুহূর্তে বৃদ্ধার ছোট ছেলে অমিত কর কঠিন রোগের সাথে লড়াই করছে । পরিবারের অভিযোগ বৃদ্ধা নিজেও অসুস্থ, কিন্তু সরকারি সব পরিষেবা থেকে বঞ্চিত।  ডানকুনির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অসুস্থ অমিত করকে। অভিযোগ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে  দেখানোর পরেও রুগীকে ভর্তি না নিয়ে উল্টে রুগীকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এখন ডানকুনির এই দুঃস্থ পরিবার  চিকিৎসার সুযোগ পাওয়ার জন্য ঘুরছেন বিভিন্ন দুয়ারে। কার্ড থাকার পরেও কেন এই হয়রানি তার উত্তর দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ। স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবাশিস মুখার্জী বলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আসলে শুধুই তৃণমূলের চমক। এই কার্ড নিয়ে গিয়েও মানুষ সুযোগ কোথাও পাচ্ছেনা। আর মুখ্যমন্ত্রী যে হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন তাতেও কাজে করছেন না। সবটাই ভাওতাবাজি বলেও অভিযোগ। ডানকুনির এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী যাই বলুক না কেন বেসরকারি হাসপাতালে এই রুগী ফেরানোর ঘটনা ঘটছেই স্বাস্থ‍্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।